একাডেমিক কার্যক্রম শুরু, নতুন নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন এবং পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নের রোড ম্যাপ ঘোষণা করার দাবিতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)’র শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুর সাড়ে ১২ টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। বেলা দেড়টায় যোহরের নামাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ হযরত আলী প্রশাসনিক ভবনের নিচে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন।
এ সময় ভিসি শিক্ষার্থীদের তার ওপর আস্থা রেখে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানান।
বেলা ২ টায় শিক্ষার্থীরা প্রেস ব্রিফিং এ বলেন, আমরা দেখেছি আমাদের প্রাক্তন ভিসি’র পতনের পর নতুন ভিসি আসার পরেও আমাদের সেই পুরনো প্রহসনের তদন্ত প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে শোকজ চিঠি পাঠানো হচ্ছে। দফায়-দফায় আমাদের উপর স্থানীয়রা হামলার হুমকি দিচ্ছে। তার সাথে আমাদের ৪ মে ক্লাস শুরু করার কথা হলেও আমাদের ক্লাস শুরু হচ্ছে না। এমন অবস্থায় আমরা শঙ্কিত।
এমনকি আমরা গতকালকে দেখলাম একজন শিক্ষক ক্লাস খুলতে চাওয়ায় তিনি শিক্ষক সমিতি থেকে পদত্যাগ করলেন। আমরা বিশ্বাস করি এতে কুয়েটের সম্মানহানী হচ্ছে। তাই আমরা দ্রুত এই অবস্থার অবসান চাই।
এখন আমরা বারবার ভিসি স্যারকে বলেছি এই তদন্ত প্রতিবেদন নিরপেক্ষ নয়। এমনকি আমরা শোকজ চিঠির পরেও যেই কারণ দেখেছি তাতে এইটা পরিষ্কার একটা চক্র আমাদের শিক্ষকদের লাঞ্চনার বিচারকে কেন্দ্র করে আন্দোলনকারীদের অন্যায়ভাবে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। সুতরাং আমরা দ্যার্থভাবে বলতে চাই আমরা এই প্রতিবেদন প্রত্যাহার করি।
যে কারণে প্রত্যাহার :
আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক প্রহসনমূলক শাস্তি আরোপের জন্য যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তা বাতিল করে নতুন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন চাই। তার সাথে ১৮ ফেব্রুয়ারীর হামলার এবং শিক্ষকদের উপর ঘটা সকল ফিজিক্যাল এসল্টের সুষ্ঠু বিচার চাই। এই তদন্ত কমিটি আমাদের ক্লাস, পরীক্ষার সাথে সমান্তরালে কাজ করবে।
পরের সপ্তাহে প্রথম কার্যদিবসের মধ্যে আমরা ক্লাসে ফিরতে চাই। এবং যেইসব শিক্ষকরা ক্লাস পরীক্ষায় ফিরতে চাই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করি।
পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নের রোডম্যাপ ঘোষণা করার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি।
বিকাল পাঁচটায় শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে মিছিল সহকারে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের দপ্তরে যায়। এ সময় শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে শোকজের জবাবের কপি হস্তান্তর করেন।
খুলনা গেজেট/এমএনএস